বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে র্যাবের সঙ্গে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠি ‘আল ইয়াকিনের’ গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা ও এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছেন। এসময় র্যাবের আরেক কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন।
মঙ্গলবার সীমান্তবর্তী তুমব্রু বাজারসহ আশপাশের এলাকায় এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সীমান্তের উভয় দিকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি টহল বাড়িয়েছে। জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা শিবিরের কাউকেই এখন বাইরে আসতে দেয়া হচ্ছে না।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় তুমব্রু শূন্য রেখা এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় অভিযানে থাকা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার মো. রেজওয়ান (৩৪) ও রোহিঙ্গা শিবিরের নারী সাজেদা বেগম (২০) নিহত হন।
এছাড়া র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নে কর্মরত র্যাব সদস্য সুবেল বড়ুয়া গুরুতর আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, র্যাবের সাথে গোলাগুলির পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক অবস্থায় বিরাজ করছে। জনসাধারণের নিরাপত্তায় পুলিশি ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তে মাদক চোরাচালানিদের সঙ্গে সংঘর্ষে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ সময় র্যাবের আরেক সদস্য গুরুতর আহত হন। র্যাব-ডিজিএফআইয়ের যৌথ অভিযান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংঘর্ষ চলাকালে মাদক চোরাচালানিদের গুলিতে দায়িত্বরত অবস্থায় ডিজিএফআইয়ের ওই কর্মকর্তা (বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা) দেশের জন্য আত্মত্যাগ করে শহীদ হন।