ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর মনে জমা ক্ষোভ। বিশ্বকাপের আগে বোমা ফাটালেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। রোনালদো ‘রোনালদো’ হয়েছেন যে ক্লাবে এসে, কোনো রাখ ঢাক না রেখে বলে দিলেন। সেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নাকি তার সঙ্গে বেইমানি করেছে।
টকটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রোনালদো জানান, নিজ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড পর্তুগিজ সুপারস্টারের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এমনকি কোচ এরিক টেন হ্যাগ ও ক্লাবের বেশ কিছু কর্মকর্তা নাকি চাননি সিআরসেভেন ইউনাইটেডে থাক।
তিনি আরও জানান, স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ইউনাইটেড ছাড়ার পর ক্লাবে আদতে কোনো উন্নতি হয়নি।
কিন্তু কী কারণে এমন কথা বললেন রোনালদো? তার জন্য পিছিয়ে যেতে হবে আরও কিছু দিন। চলতি মৌসুমে টেন হ্যাগ ইউনাইটেডে যোগ দেয়ার পর থেকেই রোনালদোর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছে না। প্রাক-মৌসুম পর্বে রোনালদোর অনুপস্থিতি দিয়ে যার শুরু, সেটি এখন পরিণত হয়েছে তিক্ততায়।
ম্যাচের পর ম্যাচ বেঞ্চে বসে থাকতে থাকতে রোনালদোও এতটাই বিরক্ত যে গেল মাসে টটেনহামের বিপক্ষে বদলি হিসেবে নামতে বললে খেলা চলাবস্থায় মাঠ ছেড়েই বেরিয়ে যান। শাস্তি হিসেবে চেলসির বিপক্ষে পরের ম্যাচে রোনালদোকে স্কোয়াডে থেকে বাদ দেন টেন হ্যাগ। টকটিভির ‘পিয়ার্স মরগান আনসেন্সরড’ শো’তে দেয়া দেড় ঘণ্টার সাক্ষাৎকারে যেন নিজের ভেতর জমে থাকা সব রাগ উগরে দিলেন রোনালদো।
সিআরসেভেন বলেন, ‘টেন হ্যাগের জন্য আমার কোনো সম্মান নেই। কারণ আমাকেও তিনি সম্মান দেখান না। কেউ আমাকে সম্মান না দিলে আমি তাকে সম্মান দিই না। সত্যি কথা বলতে, স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন বিদায় নেয়ার পর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোনো উন্নতি হয়নি।
চলতি মৌসুমের শুরুতে রোনালদো ইউনাইটেড ছাড়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন। তবে যতটা না নিজে চেয়েছেন, তার চেয়ে বেশি কোচই তাকে তাড়াতে চেয়েছেন বলে দাবি পর্তুগিজ তারকার।
রোনালদো বলেন, ‘টেন হ্যাগ চেয়েছেন আমি চলে যাই। শুধু কোচই নন, ক্লাবের আরও দুই থেকে তিনজন ব্যক্তি আমাকে বের করে দিতে চেয়েছেন। আমি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি।
মরগানকে দেয়া দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে সাবেক সতীর্থ ওয়েইন রুনিকেও এক হাত নেন রোনালদো। সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক কারণে অকারণে রোনালদোকে নিয়ে সমালোচনা করেন।
পর্তুগিজ মহাতারকা বলেন, ‘আমি জানি না, উনি কেন আমাকে এত তীব্রভাবে সমালোচনা করেন। সম্ভবত উনি খেলা ছেড়ে দিয়েছেন আর আমি এখনো শীর্ষ পর্যায়ে খেলে চলেছি এ জন্য।
বিশ্বকাপের কারণে ক্লাব ফুটবলে আপাতত দেড় মাসের লম্বা ছুটি। পর্তুগালের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে রোনালদো চলে যাবেন কাতারে। যেটি হতে পারে তার শেষ বিশ্বকাপ।