বেশ কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন, পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার এক যুগের সংসার ভেঙে গেছে। দুই দেশের গণমাধ্যমের দাবি, এরই মধ্যে ডিভোর্সের পথ বেছে নিয়েছেন উপমহাদেশের অন্যতম এ সেলিব্রিটি জুটি।
পাক-ভারতের এই তারকা দম্পতি বর্তমানে একসঙ্গে থাকেন না। তারা আলাদা আলাদা বাড়িতে থাকছেন। সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছানোর জন্য বলা হচ্ছে, শোয়েব মালিক নাকি ‘পরকীয়ায়’ জড়িয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোয়েব ও সানিয়ার একাধিক দুঃখের পোস্ট বিষয়টিকে আরও উসকে দিয়েছে। গণমাধ্যমে দাবি, পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী আয়েশা ওমরের প্রেমে মজেছেন শোয়েব মালিক।
গত বছর পাকিস্তানের ওকে ম্যাগাজিনের একটি ফটোশুট করতে গিয়ে আয়েশা ওমরের সঙ্গে শোয়েব মালিকের পরিচয় হয়। ম্যাগাজিনটির প্রচ্ছদ হন শোয়েব ও আয়েশা। আর সংসার ভাঙার নেপথ্যে দায়ি করা হচ্ছে এই ফটোশুটকেই।
গোটা ব্যাপারটি নিয়ে এখনও মুখে কুলুপ তারকা এই দম্পতির। তবে আইনি কারণে মুখ খোলা থেকে তারা বিরত বলে জানা গেছে। আইনি ঝামেলা শেষ করার পরই বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
পাকিস্তানের জিও নিউজ জানিয়েছে, সানিয়া ও শোয়েব টেলিভিশনের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এ পরিস্থিতিতে বিচ্ছেদের পথে গেলে আইনি সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে তাদের। এ কারণেই তারা এখনই কিছু জানাচ্ছেন না। আইনি সমস্যা মিটলে তারপর বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণা করবেন তারা।
সম্প্রতি শোয়েব মালিকের ঘনিষ্ঠ একজন জানান, তাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ব্যক্তি ইনসাইড স্পোর্টসকে জানান, হ্যাঁ, তারা এখন আনুষ্ঠানিকভাবেই ডিভোর্সড। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। তবে আমি নিশ্চিত করছি, তারা আলাদা হয়ে গেছে।
এর আগে ‘শোয়েবের সঙ্গে দুই নারীর সম্পর্ক নিয়ে’ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল। এই দুই জনের মধ্যে প্রথমজন পাকিস্তানি অভিনেত্রী আয়েশা ওমর। আয়েশা ছাড়া অন্য এক পাক অভিনেত্রীর সঙ্গেও শোয়েবের সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। চলতি বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিরা খানের সঙ্গে শোয়েবের নাম জড়ায়। মাহিরার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম লাইভে একবার আড্ডায় বসেছিলেন শোয়েব।
সানিয়া মির্জা ও শোয়েব মালিকের বিয়ে হয় ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল। ক্রীড়া জগতের অন্যতম জনপ্রিয় দম্পতি হিসেবে পরিচিত তারা। ভারত-পাকিস্তান জুটির একমাত্র সন্তান ইজহান মির্জা মালিক।