দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট-বলের ব্যর্থতায় ১০৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। রানের হিসেবে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার। জেনে নেওয়া যাক রানের ব্যবধানে টাইগারদের বড় ৫টি পরাজয় কেমন ছিল।
আজ সিডনিতে সুপার টুয়েলভের গ্রুপ টুতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে খেলতে নামে বাংলাদেশ। তবে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা রাইলে রুশোর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে নির্ধারতি ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। দ্বিতীয় উইকেটে কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে রেকর্ড জুটিও গড়েছেন রুশো। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানে থামে বাংলাদেশ।
প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, করাচি ২০০৮ (১০২ রানের ব্যবধান)
২০০৮ সালে করাচিতে ২০৩ রান তাড়ায় ১০১ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এতদিন রানের হিসেবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ হারের ব্যবধান ছিল সেটিই—১০২ রান।
প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, পচেফস্ট্রুম ২০১৭ (৮৩ রানের ব্যবধান)
২০১৭ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে ৮৩ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সেবার প্রথমে ব্যাট করে ডেভিড মিলারের খুনে ৩৬ বলে ১০১ রানে অপরাজিত ব্যাটিংয়ে প্রথমে প্রোটিয়ারা ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রান করে। জবাবে ১৪১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা, সিলেট ২০১৮ (৭৫ রানের ব্যবধান)
দ্বিপাক্ষিক সিরিজে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৭৫ রানে হারে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে লংকানরা ৪ উইকেট হারিয়ে ২১০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে। জবাবে ১৩৫ রানে থামে টাইগাররা
প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০১৬ কলকাতা (৭৫ রানের ব্যবধান)
২০১৬ সালের ভারত বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৭৫ রানে হারে বাংলাদেশ। সে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করে। জবাবে মাত্র ৭০ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।