আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধি দল আজ (বুধবার) আসছেন। দলটির নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশে আইএমএফ মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ। আগামী ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫ দিন ঢাকায় অবস্থান করবে তারা।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাথে বৈঠকে বসবেন তারা। ১৫ দিনের সফরের শেষ দিনে ৯ নভেম্বরও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাথে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাদের। সরকার যদি আইএমএফের শর্ত মেনে নেয় তবে, আগামী বছরের শুরুতে ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
আইএমএফ প্রতিনিধি দলটি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি আর্থিক খাতের সংস্কার ও নীতি পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সিরিজ বৈঠক করবে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ সফরের কথা বিৃবতির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক বহুজাতিক এই সংস্থাটি। আর্থিক খাতের সংস্কার ও নীতি বিষয়ে অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করাই এই সফরের উদ্দেশ্য বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সফরের উদ্দেশ্য হলো কর্মকর্তা পর্যায়ের চুক্তির অগ্রগতির জন্য আলোচনা করা। বর্ধিত তহবিল সুবিধা কর্মসূচি এবং নতুন চালু রেসিলিয়ান্স অ্যান্ড সাসটেইনেবলিটি ফ্যাসিলিট (আরএসএফ) এর অধীনে ঋণ নিয়ে আলোচনার করা।
এতে বলা হয়, আরএসএফ ঋণের অধীনে সাশ্রয়ী ও দীর্ঘমেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোকে অর্থায়ন করা হয়।
১৯৭২ সালে আইএমএফের সদস্য হবার পর থেকে বাংলাদেশ ঋণ নিলেও তা ১০০ কোটি ডলারের সীমা পার হয়নি। এবারই সরকার এত বেশি পরিমাণ ঋণ চেয়েছে। ঋণ চাওয়ার পর গত মার্চ মাসে আইএমএফ পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বেশ কিছু সংস্কারের সুপারিশ করে।
অর্থনীতিবিদরা ধারণা করছেন, সেসব সুপারিশ বা শর্ত এবারের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে বৈদেশিক বাণিজ্য ঠিক রেখে দেশের অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কাছে সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়ে প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ।