দেশে চলমান বিদ্যুৎ–সংকট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার বন্ধ রাখার পরামর্শকে জনগণের সঙ্গে রসিকতা বলে মনে করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ জন্য জোটের পক্ষ থেকে তাঁর অপসারণ দাবি করা হয়।
আজ সোমবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কার্যালয়ে জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
বাম জোটের নেতারা বলেন, ভুলনীতি ও দুর্নীতির কারণে আজ বিদ্যুৎ খাতের এ বিপর্যয়। এর দায় সরকারের। জনগণ দায় নেবে না। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংকটের অন্যতম দায় জ্বালানি উপদেষ্টারও। তাঁকে অপসারণ না করে এবং ভুলনীতি ও দুর্নীতির জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিদ্যুৎ–সংকট নিয়ে যেসব বলা হচ্ছে, তা সরকারের নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকারই অপচেষ্টা।
নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণেও সরকার ব্যর্থ উল্লেখ করে বাম জোটের নেতারা বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছে অনুনয়–বিনয় করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় করে উৎপাদন বাড়ানো ও সরবরাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তাঁরা বলেন, গ্রাম–শহরে রেশনিং ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে হবে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে বাধাদানের তীব্র সমালোচনা করেছে বাম জোট।
উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব থেকে রক্ষায় ওই অঞ্চলে জনগণের জানমাল রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বাম জোট।
সভায় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের আব্দুস সাত্তার, বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানাসহ প্রমুখ।