ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই’র সভাপতি পদে সৌরভ গাঙ্গুলীর মেয়াদ শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে। কেন্দ্রে আরেকবার দায়িত্ব পালনের সুযোগ না পাওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য ক্রিকেটে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি।
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন সৌরভ।
কেন ঘোষণা দিয়েও প্রার্থী হচ্ছেন না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক ভারত অধিনায়ক বলেন, আমি বলেছিলাম নির্বাচন হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। কিন্তু এখানে কোনো ভোটাভুটি হচ্ছে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে ৩১ অক্টোবর। সৌরভ বিসিসিআইর সভাপতি থাকার সময় সিএবির প্রেসিডেন্ট ছিলেন অভিষেক ডালমিয়া। সম্প্রতি বিসিসিআইর প্রতিনিধি হিসেবে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলে গেছেন তিনি।
অভিষেকের শূন্য হওয়া পদের দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন সৌরভ।
গতকাল রোববার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর যুক্তি দিয়ে ইডেন গার্ডেনে উপস্থিত সাংবাদিকদের সৌরভ বলেন, আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারতাম, তবে এটা ঠিক হতো না। আমি সভাপতি হলে দুই বা তিনজন মানুষ কোনো পদেই থাকতে পারত না। তিন বছর ধরে তাঁরা সিএবির জন্য কাজ করছেন। তাঁদেরও সুযোগ দরকার।
বিসিসিআইতে নেই, সিএবিতেও থাকছেন না, সৌরভ তাহলে কী করবেন?
এ ক্ষেত্রে এখনো চূড়ান্ত কিছু ভাবেননি বলে জানিয়েছেন সৌরভ, দেখা যাক কী করি। কিছুদিন দায়দায়িত্ব থেকে একদম মুক্ত। ভালোই লাগছে। সিএবিতে আমার কোনো প্রতিপক্ষ নেই। এখন নতুন ও অভিজ্ঞদের কাজ করার সময়। আমিও তাঁদের আশপাশেই থাকব।
ক্রিকেট–বিষয়ক সাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, সৌরভ সরে যাওয়ায় সিএবির প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন তাঁর বড়ভাই স্নেহাশিস গাঙ্গুলী। অভিষেক নেতৃত্বাধীন কমিটিতে সচিবের দায়িত্বে ছিলেন স্নেহাশিস।
এবার স্নেহাশিসের সঙ্গে সচিব হতে যাচ্ছেন নরেশ ওঝা। দ্বিতীয়বারের মতো কোষাধ্যক্ষ আর যুগ্ম সচিব হতে যাচ্ছেন প্রবীর চক্রবর্তী ও দেবব্রত দাস।