পাওয়ার-প্লেতে পাকিস্তানকে চেপে ধরেছিলেন ভারতীয় বোলাররা। তাতে ৩২ রানের বেশি করতে পারেনি বাবরের আজমের দল। বল হাতে নেমে যেন শাহিন আফ্রিদিরা প্রতিশোধ নিচ্ছেন। তাদের বোলিং তোপের সামনে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতেই পারেনি রোহিত শর্মার দল।পাওয়ার প্লেতে নিতে পারেনি ৩১ রানের বেশি। সঙ্গে হারিয়েছে তিন টপ অর্ডারকে।
পাকিস্তান যেমন তাদের প্রথম উইকেট হারিয়েছিল দ্বিতীয় ওভারে। তেমনি ভারতও হারায় একই ওভারের পঞ্চম বলে। নাসিম শাহর গুড লেংথের শর্ট বলটি বুঝে উঠতে পারেননি লুকেশ রাহুল। বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফেরার আগে ৮ বলে ৪ রান করেন তিনি।
চতুর্থ ওভারের শেষ বলে যেমন দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান, ভারতও সেই ওভারেই হারায় রোহিত শর্মার উইকেট। হারিস রউফের করা ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিটি দুরন্ত গতির।ঘণ্টায় ১৪৫ কিলো গতির বলটি রোহিতের ব্যাটে এডজ হয়ে টোকা লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ইফতিখারের হাতে। দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে উল্লাসে মেতে উঠে পাকিস্তান।
এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ফের আঘাত হানেন হারিস। এবার তার শিকার ভারতের বিধ্বংসী ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। বেক অব লেংথের বলটি ব্যাটে কোনায় লেগে হাওয়ায় ভেসে রিজওয়ানের হাতে ধরা দেয়। ফেরার আগে অবশ্য ১০ বলে ১৫ রান করেন। যেখানে ছিল দুটি চারের মার।
পাওয়ার প্লে শেষে পরের ওভারেই শাদাব খান ফিরিয়ে দেন আক্সার প্যাটেলকে। তবে তিনি রান আউটের শিকার হন। তিন বল খেলে মাত্র ২ রান সংগ্রহ করতেই ফিরতে ড্রেসিং রুমে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৬০ বলে ১১৫ রান।