বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখনও সময় আছে নিরাপদে সরে যান, না হয় পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের চিহ্ন থাকবে না। আজ শনিবার বিকেলে খুলনায় বিএনপির গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অসুস্থ বোধ করায় চেয়ারে বসে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি শনিবার বিকেল ৪টা ১৭ মিনিট থেকে ৪টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত বক্তব্য দেন।
খুলনাবাসীকে অভিবাদন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সভা প্রতীক মাত্র। খালেদা জিয়ার চেয়ার খালি। তিনি গৃহবন্দি। তাঁর স্মরণে এই চেয়ার খালি। জনতার সৈনিক, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে নিয়ে আসো। এই দেশকে নরকে পরিণত করেছে সরকার। সব অর্জন ধ্বংস করে ফেলেছে। অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে এসব করছে সরকার। একবার ভোট ছাড়া, আরেকবার নিশি রাতে। ২০২৩ সালে নির্বাচন একইভাবে করার পায়তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই নির্বাচন কমিশন নিজেদের ভালো দেখানোর জন্য কৌশল নিয়েছে। কমিশনকে তো ডিসি-এসপিই মানে না। তাই আমরা নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলছি না। তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়। তাই এই সরকারকে বিদায় জানাতে হবে।
মামলা হামলায় বিএনপিকে দমানো যাবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল খুলনার সমাবেশে বলেন, নতুন সাহস নিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার বলছে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনির কথা। কারণ তারা লুটপাট করছে। সরকার বলছে সমাবেশে সহায়তার কথা। স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রী কি সহায়তা করেছেন, রেলস্টেশনে গ্রেপ্তার হামলা করা হয়েছে। আপনারা দমিয়ে রাখতে পারবেন না। বিএনপি নতুন সাহসে বলীয়ান, আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বয়স হয়েছে তারপরও লড়াই করছি। মূল দায়িত্ব তরুণদের উপরে, লড়াইয়ে জিততে হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি, সহিসংসতা করছি না। আমাদের উপর হামলা করে পার পাবেন না। বিদেশিরা বুঝে গেছে, আপনারা সন্ত্রাসের দল। হামলা করে ক্ষমতায় টিকে আছেন।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমাদের সামনে আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই। এই সরকারকে পরাজিত করে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সরকার পদত্যাগ করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারে নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের চিহ্ন থাকবে না ১০টার বেশি আসন পাবে না। গণঅভ্যুত্থানে এ সরকারকে বিদায় জানাতে হবে। আমাদের দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে চাই। ফয়সালা হবে রাজপথে। আদালত ঠিক করতে কমিশন গঠন করব। এখনও সময় আছে সেইফ এক্সিট নেন। পালাবার পথে খুঁজে পাবেন না।