আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকায় বিএনপি ১০ লাখ মানুষের জমায়েত করলে আওয়ামী লীগ ৩০ লাখ জমায়েত করবে।
রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কয়েক বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে বিএনপির সমাবেশে লোকসমাগম ফ্লপ হয়নি বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি ঢাকায় ১০ লাখ জমায়েত করলে আওয়ামী লীগ ৩০ লাখ জমায়েত করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনে লোক দেখে আমরা ভয় পাই না। তারা যত লোকের টার্গেট দেয়, তত লোক কি হয়? অনেকে বলেছে, ৩০ হাজার, ৩৫ হাজার কিংবা ৫০ হাজার লোক হয়েছে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছি। আমি বলেছি, চট্টগ্রামে লাখের কাছে লোক হয়েছে। সত্যকে আড়াল করে তো লাভ নেই। সত্যকে আড়াল করব কেন? এটা আওয়ামী লীগের বহু লোক স্বীকার করতে চায় না। কেউ বলে ২৫ হাজার, ৩০ হাজার।
তিনি বলেন, আমরা শুধু বিএনপিকে বলি শান্তিপূর্ণ থাকেন, ঢাকায় ১০ লাখ বসান, আমরাও ৩০ লাখ বসাতে পারি। কিন্তু যানজটের কি অবস্থা হবে? অভাব ও কষ্টে রয়েছে এ ধরনের কিছু মানুষ বিএনপির সভা-সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষ কষ্টে আছে, এটা ঠিক। তবে একজন মানুষও না খেয়ে কষ্টে মারা যায়নি। এর মধ্যেই চলতে হবে। দেশের রিজার্ভ নিয়ে খুব চিন্তিত নই। বর্তমানে যে রিজার্ভ রয়েছে, তা দিয়ে আগামী পাঁচ-ছয়মাস চলা সম্ভব। তবে অনেক ক্ষেত্রে আমরা স্বস্তিতেও আছি। আমাদের খাদ্যেও তেমন সমস্যা নেই। অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে।
কাঁধ থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভুত কেন নামাতে পারছে না বিএনপি- এ প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার কেন চাইছে? দেশের সংবিধান সম্মত উপায়েই নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করবে। সেখানে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি দেশে চোখে পড়ার মতো কোনো আন্দোলন করতে পারেনি।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি বলব, আপনাদের মাথা যেন খারাপ না হয়। মাথা খারাপ করে আবার পেট্রল বোমা নিয়ে নামবেন, আমরা তো সেই ভয় করছি।
চলতি অক্টোবর মাসে সারা দেশে ১০০টি সেতু চালু হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ১০০টি সেতু উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ইতোমধ্যে সামারি পাঠানো হয়েছে। তিনি যখন সময় দেবেন, তখন সেতুগুলো উদ্বোধন করা হবে।