বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতকে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কখনো–সখনো ওঠাবসা করতে দেখা যায়। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে অনেক সময় মন্তব্য করেন তিনি। অনেকের মতে, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ঘনিষ্ঠ এই অভিনেত্রী। তাই দীর্ঘদিন ধরে কঙ্গনার রাজনীতিতে আসা নিয়ে জল্পনাকল্পনা ছিল তুঙ্গে। এবার অভিনেত্রী স্বয়ং সব জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটালেন।
কঙ্গনা হরহামেশাই নানাভাবে খবরে উঠে আসেন। কখনো পেশাগত কারণে, আবার কখনো বা বেফাঁস মন্তব্য করে চর্চায় উঠে আসেন এই অভিনেত্রী। বলিউড তারকাদের তুলাধোনা করতে সিদ্ধহস্ত কঙ্গনা। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর বেশ দুর্নাম আছে, অনেকেরই চক্ষুশূল এই বলিউড তারকা। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে কঙ্গনা রাজনীতির আঙিনায় পা রাখা নিয়ে বেশ কিছু কথা বলেছেন।
রাজনীতিতে আসা প্রসঙ্গে ৩৫ বছরের এই অভিনেত্রী বলেছেন, নতুন এক ক্যারিয়ার শুরু করার মতো ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু রাজনীতির প্রতি আগ্রহ আছে। সেই আগ্রহকে প্রাধান্য দিয়ে আমি সব সময় ভালো ছবি নির্মাণ করব। আমার রাজনীতি আমার কাজের মধ্যে দেখতে পাবেন। এ প্রসঙ্গে কঙ্গনা আরও বলেছেন, রাজনীতিতে পা রাখার আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। আমি নিজের ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত। রাজনীতিকে ঘিরে আমার উৎসাহ প্রবল, কিন্তু তা কেবল এক শিল্পী হিসেবে। আমি একজন সফল শিল্পী। ১৬ বছর বয়সে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম। অনেক সংগ্রামের পর আজ এই উচ্চতায় এসে পৌঁছেছি। আমি একজন দেশভক্ত। সেই সব মানুষকে উৎসাহিত বা সমর্থন করব, যাঁরা দেশের জন্য ভালো কাজ করছেন। তাঁরা যেকোনো দলের হতে পারেন।
রাজনীতির প্রতি কঙ্গনার আগ্রহ যে প্রবল, তা তাঁর চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে চোখ রাখলেই বোঝা যায়। এর আগে তাঁকে তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী ও অভিনেত্রী জয়ললিতার আত্মজীবনীমূলক ছবি ‘থালাইভি’-তে দেখা গেছে। এ ছবিতে জয়ললিতার মতো হয়ে উঠতে অনেক পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। ছবিতে তাঁর অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল।
আবারও এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের চরিত্রে আসতে চলেছেন কঙ্গনা। ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিতে তাঁকে ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় দেখা যাবে। ইতিমধ্যে কঙ্গনার ইন্দিরাবেশী রূপ প্রকাশ্যে এসেছে। ইন্দিরা বেশে অনেকেরই মন জয় করেছেন তিনি। এমনকি কঙ্গনা ছোটবেলার এক ছবি পোস্ট করে দেখিয়েছেন যে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাঁর কতটা সাদৃশ্য ছিল। আত্মীয়রা তাঁকে ‘ইন্দিরা গান্ধী’ বলে ডাকতেন বলে জানান কঙ্গনা।