কোনোভাবেই মেঘদলের কনসার্ট মিস করতে চাইনি। বাসে চেপে বিরুলিয়ায় গিয়ে গান শুনেছি, দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রকৃতির মাঝে মেঘদলের গানের সুরে যেন ভেসে যাচ্ছিলাম!’ ঢাকার অদূরে সাভারের বিরুলিয়ার দ্য মার্কেটপ্লেসে আয়োজিত মেঘদলের একক কনসার্ট থেকে ফিরে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারসা সাইয়ারা।
প্রায় তিন বছর পর গত সপ্তাহে একক কনসার্টে মঞ্চে উঠেছিলেন শিবু কুমার শীলরা, মাঝে করোনার কারণে এককভাবে তাঁদের মঞ্চে পাওয়া যায়নি। শুধু মেঘদল নয়; ইতিমধ্যে নগরবাউল, অর্থহীন, শিরোনামহীন, আর্বোভাইরাস, চিরকুটের মতো জনপ্রিয় ব্যান্ড কনসার্টে ফিরেছে।
কী কারণে দর্শকেরা কনসার্টে ফিরছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে শিরোনামহীনের দলনেতা জিয়াউর রহমান বলেন, ‘কনসার্টে গান শোনা আর বাসায় বসে গান শোনার মধ্যে পার্থক্য আছে। কনসার্টে গিয়ে লাউড ভলিউমে গান শুনছি; সঙ্গে পরিবার, বন্ধুরা আছে। ফলে সেই পরিবেশ দর্শকেরা উপভোগ করছেন। আমরা মঞ্চ থেকে টের পাই, কনসার্টে আসার জন্য মানুষ কতটা উন্মুখ হয়ে থাকেন।
দোজা এলান বলেন, কোভিডের দুই বছর মানুষ ঘরবন্দী ছিলেন। কোনো কনসার্টও হয়নি। ফলে গত বছর থেকে মানুষ কনসার্টে ফিরতে শুরু করেছেন। যেকোনো ধরনের আয়োজন করলেই দর্শক আসছেন। আগামী দিনে দর্শক আরও বাড়বে।
স্কাই ট্র্যাকার লিমিটেড ও দ্য হাইব্রিড এক্সপেরিয়েন্স ছাড়াও ব্যান্ডমিথ এক্সপেরিয়েন্টাল, সিক্সবেজ কমিউনিকেশন, ঝিড়ঝিড় প্রাইভেট লিমিটেডসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নিয়মিত কনসার্ট আয়োজন করছে। শহরের বাইরে বিরুলিয়ায় নিয়মিত কনসার্টের আয়োজন করেছে ঝিড়ঝিড় প্রাইভেট লিমিটেড। আগে সোনার বাংলা সার্কাস সেখানে গিয়ে গান করে এসেছে, সেপ্টেম্বরে করেছে মেঘদল। কনসার্টের প্রচলিত ধারণার বাইরে ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছেন মেঘদলের ভক্তরা।