ইউক্রেন এর প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোতে তাদের দ্রুত অন্তর্ভুক্তির অনুরোধ জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নতুন করে মস্কোর ওপর অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে।
যুদ্ধের সাত মাস পূর্ণ হওয়ার কয়েক দিন পর গতকাল ভ্লাদিমির পুতিন চার বিজিত অঞ্চল সংযুক্তির ঘোষণা দিলেন।
এ ঘোষণার আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এ বিষয়ে কড়া অবস্থান তুলে ধরে আসছিল।
ক্রেমলিনে এসংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেত্স্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলকে যুক্ত করার ঘোষণা দেন ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় তিনি দাবি করেন, গত শুক্রবার থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত গণভোটে ওই চার ইউক্রেনীয় অঞ্চলের মানুষ রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পক্ষে ব্যাপকভাবে রায় দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৪ সালে কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে ইউক্রেনের মালিকানাধীন ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে একইভাবে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয় মস্কো।
এরপর গতকালই আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন জেলেনস্কি। প্রসঙ্গত, ন্যাটোতে যোগদানের আগ্রহ থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের বিরোধ যুদ্ধে গড়ায়।
এই চার অঞ্চল ইউক্রেনের সমগ্র ভূখণ্ডের প্রায় পাঁচ ভাগের একভাগ। শতাংশের হিসাবে তা ১৫ থেকে ১৮ ভাগ (অর্থাৎ প্রায় ২০ ভাগ)। চার অঞ্চলে রাশিয়া পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারলে সেটি পূর্বদিকে লুহানস্ক থেকে ক্রিমিয়া পর্যন্ত যুক্ত করে দীর্ঘ একটি ভূখণ্ডকে এক সুতোয় গাঁথবে।
ন্যাটো বলছে, ন্যাটোর মিত্ররা ইউক্রেনের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য তাদের ‘অবিচল সমর্থন’ নিশ্চিত করেছে। জোটের মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ এই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে সহায়তা করা থেকে বিরত থাকবে না ন্যাটো।