‘ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়’, বছরে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ও করা যায়। দুনিয়ার চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিয়েছেন Khabi Lame। বর্তমানে ২০০ মিলিয়নের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ফলোয়ার রয়েছে তাঁর। বিশ্বের সেরা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের তালিকায় রয়েছেন খাবি।
পড়াশোনা না জানা ২২ বছরের যুবক এহেন সাফল্য পেলেন কী ভাবে? সেই গল্পই এবার জেনে নেওয়া যাক। খাবি Dyslexic ছিলেন। তাই পড়াশোনা করতে পারেননি তিনি। কখনও কারখানায় মজুর হিসেবে খেটেছেন। কখনও আবার রেস্তোরাঁয় ওয়েটার হিসেবে কাজ করেছেন।
হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে মাসে সর্বাধিক এক হাজার ডলার ইনকাম করতেন। মিলানের মতো শহরে থাকার খরচ অনেক টেনেটুনে চলছিল সংসার। তবে লকডাউনের সময়ে দুর্যোগ ঘনিয়ে এসেছিল বিশ্বসেরা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার খাবি লেমের জীবনে। কী ভাবে সংসার চালাবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না তিনি। এই সময়েই সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করার পরিকল্পনা করেন তিনি। নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করতে থাকেন।
অতিমারির মাঝে মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। তাই কমিক কনটেন্টের দিকে ঝুঁকেছিলেন খাবি। তবে কোনও ভিডিয়োতেই কথা বলেননি কখনও। শুধুমাত্র অভিব্যক্তির মাধ্যমেই মানুষকে হাসিয়ে চলেছেন তিনি। এই বিষয়টিই তাঁর USP। অনেকের ধারণা, তিনি কথা বলতে পারেন না। এই বিষয়টি কিন্তু সঠিক নয়। নিজের অভিব্যক্তির মাধ্যমেই কৌতুক করতে চেয়েছিলেন তিনি।
আরও একটি বিষয় খাবির ভিডিয়োকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে। দৈনন্দিন সমস্যাকে কেন্দ্র করে সাদামাটা রসিকতা করে থাকেন Khabi Lame। তাঁর মতে, এটিই তাঁর সাফল্যের কারণ।