বাংলাদেশে এমন একটি গ্রাম আছে-যেখানে সারাবছর শুটিং চলে! গ্রামটির আগের নাম বদলে এখন অনেকেই শুটিং গ্রাম বলে থাকেন! আশপাশের দশ গ্রামের মানুষও এখন এই গ্রামকে শুটিং গ্রাম হিসেবেই চেনে। বছরের বারো মাস সেখানে শুটিং চলে।
এই গ্রামটির আসল নাম ভাদুন। ইউনিয়নের নাম পূবাইল। এক বছর হলো থানা হয়েছে পূবাইল। তবে, পূবাইল ইউনিয়ন আছে এখনো। এই ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে শুটিং চলে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শুটিং হয় ভাদুন গ্রামে।
পূবাইল ইউনিয়নের হারিবাড়িটেক গ্রামে আছে তিনটি শুটিং বাড়ি। একটি বাড়ির নাম হাসনাহেনা, একটির নাম-কৃঞ্চচূড়া, অপরটির নাম জান্নাত। জান্নাত শুটিং হাউজটির মালিক চিত্র নায়ক শাকিব খান।
হাসনাহেনা শুটিং হাউজে বছর ধরেই শুটিং চলে। এই বাড়িটি অনেক পরিচালক ও তারকার পছন্দের তালিকায় আছে। হাসনাহেনার ম্যানেজার মুসা মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘হাসনাহেনায় আছে বিশাল জায়গা। অনেকগুলো বাড়ি আছে ভেতরে। গাছগাছালিও আছে। পুকুর আছে। বাড়িটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। এজন্যই পরিচালক ও শিল্পীরা বাড়িটি পছন্দ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূবাইলের ভাদুন গ্রামে শুটিং শুরু হয় আজ থেকে ২৩ বছর আগে। প্রখ্যাত পরিচালক আমজাদ হোসেন তার পরিচালিত একটি নাটকের শুটিং করার জন্য লোকেশন দেখতে বের হয়েছিলেন সেই সময়ে। যেতে যেতে ভাদুন গ্রামে যান। গ্রামটি ভালো লেগেও যায়।
গ্রামটি আসলে ভালো লাগার মতোই। গাছগাছালি যেমন আছে, খাল বা ঝিলও আছে। তারপর আমজাদ হোসেন ২৩ বছর আগে ভাদুন গ্রামে শুটিং করেন ধারাবাহিক নাটক-আগুন লাগা সন্ধ্যা। নাটকটি তখন একুশে টেলিভিশনে প্রচার হয়েছিল।
এভাবেই ২৩ বছর আগে শুটিং শুরু হয়। কিন্তু, গ্রামটিতে গ্রামীণ নাটকের জন্য সবচেয়ে বেশি শুটিং করেছেন পরিচালক সালাহউদ্দিন লাভলু। অনেকের মতে, সালাহউদ্দিন লাভলুর গ্রামীণ নির্ভর গল্পের নাটকের শুটিংয়ের কারণেই গ্রামটির পরিচিতি বেশি আসে। একটা সময়ে মাসের পর মাস লাভলু এ গ্রামে শুটিং হাউজ ভাড়া করে থেকেছেন এবং বড় বড় ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করেছেন।