কুড়িগ্রামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে চার বিষয়ে এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে। এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিবসহ চার শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ায় হতাশ পরীক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে পরীক্ষা পিছিয়েছে, সেটা মেনে নিয়েছি। সিলেটে বন্যার কারণে পরীক্ষা পিছিয়েছে সেটাও মেনে নিয়েছি, কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে, পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে এটা কি মেনে নেওয়ার?
আমরা বারবার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি, বারবার পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে আমাদের মানসিক অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তা কাউকে সেটা বলে বোঝানো যাবে না।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নেসকো দিনাজপুর অফিসের কর্মচারী সাজ্জাদুল ইসলাম জানান, তার মেয়ে সাজিদা ইসলাম এবার মহারাজা গিরিজানাথ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সকালে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলমান এসএসসি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার শুনে ও দেখে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। তাকে কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।
কুড়িগ্রাম বর্ডার গার্ড স্কুলের শিক্ষার্থী আলিফ ইসলাম বকসী। সে কুড়িগ্রামের আবুল কালাম আজাদ ঠান্ডার ছেলে। সে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। সকালে টিভির স্ক্রলে পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার খবর দেখে চোখের পানি মুছতে মুছতে হতাশার সুরে তার বাবাকে বলে, ‘করোনা খাইছে দুই বছর, বন্যা খাইছে এক মাস। দেখা যাক এবার প্রশ্ন ফাঁস কত দিন খায়। ’
কুড়িগ্রাম জেলা থেকে এসএসসি প্রশপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় চলতি পরীক্ষার সাধারণ গণিত, পদার্থ, রসায়ন এবং কৃষি বিষয়ে পরীক্ষা স্থগিত করে মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড দিনাজপুর।