বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। স্কোয়াড ছাপিয়ে জাতীয় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দলে থাকবেন কি না। মাস দুয়েক আগেও ছিলেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলের অধিনায়ক। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে নেতৃত্ব হারানোর পর থেকে দলে তার জায়গাটা বেজায় নড়বড়ে ছিল। শেষমেশ উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের পর থেকেই মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ে।
সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই এ সংস্করণে ছন্দে নেই তিনি। বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৬.৫৪ গড় ও ১০২.৮২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন এ ব্যাটসম্যান। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ কয়েক দিন আগেই বলেছেন, মাহমুদউল্লাহর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স তাদের প্রত্যাশা পূর্ণ করতে পারেনি।
যদিও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, মাঠ থেকেই রিয়াদকে বিদায় জানাতে চান তারা। তবে শেষমেশ তাকে বাদ দিয়েই দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
মাহমুদউল্লাহ ছাড়াও আরও বাদ পড়েছেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সিরিজ ও সবশেষ এশিয়া কাপের দলে থাকলেও তেমন আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি এ ওপেনার।
এদিকে, ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন লিটন দাস, ইয়াসির আলি রাব্বি এবং নুরুল হাসান সোহান। প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামবেন ইয়াসির রাব্বি, এবাদত হোসেন এবং হাসান মাহদি।
বিশ্বকাপের দলে সুযোগ দেয়া হয়েছে সাব্বির রহমান এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকেও। তবে চমক হিসেবে থাকছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ এ ক্রিকেটারের ওপর আবারও আস্থা রাখল বোর্ড।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে যথারীতি অধিনায়কের দায়িত্বে থাকছেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া তার ডেপুটি হিসেবে থাকছেন ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা নুরুল হাসান সোহান।
বাংলাদেশের স্কোয়াড :
লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ইয়াসির আলী রাব্বি, সাব্বির রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত।
স্ট্যান্ডবাই : শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন ও সৌম্য সরকার।