বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী এবং দুবারের বিরোধীদলীয় নেত্রী। সে কথা বাদ দিলাম, তিনি বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে সুস্বাস্থ্য তার মৌলিক অধিকার। আজকে তাকে মৌলিক অধিকার থেকে কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে, সে জবাব সরকারকে দিতে হবে।’
শনিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে গণঅনশনে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘তিনি (খালেদা) অসুস্থ, তার চিকিৎসার সুব্যবস্থা নেই। সরকার মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে তাকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। এটা চলতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘দুনিয়ার কোনো দেশে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম তা সহজ ছিল না। বাংলাদেশকেও এ কথা মনে রাখতে হবে। আমাদের সে সংগ্রামের ভেতর দিয়ে এ দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্যের ব্যবস্থ্যা করতে হবে।’
শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এ ফ্যাসিস্ট সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না।’ এসময় শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের গণঅনশন কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান তিনি।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় গণঅনশনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।
বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ গণঅনশন কর্মসূচি চলবে। এ কর্মসূচি থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।